মাইক্রোসফ্ট, পেনসিলভেনিয়া ইউনিভার্সিটি এবং কার্নেজি মেলন ইউনিভার্সিটির যৌথ সমীক্ষার রিপোর্টে কপালে ভাঁজ পড়বে অনেকেরই। কারণ, কমপক্ষে ২২,৪৮৪টি পর্নো ওয়েবসাইটের ওপর পরীক্ষার পর রিপোর্টে দাবি, ৯৩% ওয়েবসাইটই ব্যবহারকারীর নেট-গতিবিধি ট্র্যাক করতে পারে। ‘ওয়েবএক্সরে নামক সফ্টওয়ারের সাহায্যে এই ট্র্যাকিং করা হয়।
চাঞ্চল্য এখানেই নয়, রিপোর্টে আরো জানা গেছে—পর্নো ওয়েবসাইট ছাড়াও ফেসবুক, গুগলের মতো ‘নামি’ সাইটও ইউজারের নেট-গতিবিধি ট্র্যাক করে। গুগল যেখানে ৭৪% গতিবিধি ট্র্যাক করে থাকে ফেসবুক সেখানে ১০% ক্ষেত্রে তা করে থাকে।
পর্নোপ্রেমীদের জন্য খারাপ খবর আরো রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের ঐ রিপোর্ট অনুযায়ী, ব্রাউজারের ইনকগনিটো মুড (Incognito)-ও এই ট্র্যাকিংয়ের থেকে সুরক্ষিত নয়। অর্থাত্, ইনকগনিটো মুডে পর্নো দেখে আপনি যদি ভাবেন,‘কেউ জানছে না।’ আসলে তা নয়। সেই গতিবিধিও ট্র্যাক করতে পারে গুগল বা ফেসবুক। প্রশ্ন আসবেই, এর থেকে ঐ ওয়েবসাইটের লাভ কী? আপনার সার্চিং প্রেফারেন্স বা ইন্টারনেট ঘাঁটার প্রবণতার ভিত্তিতেই বিজ্ঞাপন দেয় ফেসবুক, গুগলের মতো সাইট।
প্রসঙ্গত, শুধু ২০১৭ সালে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম পর্নো সাইট Pornhub-এ ২৮৫ কোটি দর্শক পর্নো দেখেছিল। অর্থাত্ প্রতি সেকেন্ডে ৫০ হাজার পর্নো দেখা হয়েছিল। এর থেকেই স্পষ্ট বিশ্বে পর্নো আসক্তি কোন পর্যায় পৌঁছেছে।
Post a Comment